আমতলি
বরগুনায় প্রাথমিকের পরীক্ষা নিলেন প্রধান শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকরা। এতে উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষায় ভোগান্তির কোনো শেষ নাই। জানা গেছে, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে গত ৮ নভেম্বর থেকে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যা প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানানো হয়। ফলে তারা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ঢাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুর হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষরা কর্মবিরতিতে থাকায় শুধু প্রধান শিক্ষক স্কুলের ও পিয়ন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। অভিভাবকরা দ্রুত সহকারী শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
একাধিক বিদ্যালয়ের কর্মবিরতিতে থাকা সহকারী শিক্ষকরা বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। আমতলী একে হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. একেএম জিল্লুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা কর্মবিরতি পালন করছে। আমতলী বন্দর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন জানান, সহকারী শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য।
তারা কর্মবিরতিতে আছেন। সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা নিতে কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি। একার পরীক্ষা নিতে হয়েছে। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন, সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে আছেন। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।



