গৌরনদী
বরিশালে প্রসূতির মরদেহ রেখে পালানো সেই ক্লিনিক সিলগালা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর এলাকার সেই বির্তকিত মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ পাওয়ায় গেটে সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গৌরনদী উপজেলা মিডিয়া সেল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অপারেশন থিয়েটারে প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস ও রোগী রাখার রুম না থাকায় সুইস মেডিকেল সেন্টারের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে সার্বক্ষণিক ডাক্তার না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে দালালবিরোধী অভিযানে তিন দালালকে আটক করা হলেও প্রথমবার সতর্কতামূলকভাবে আটককৃতরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে না মর্মে মুচলেকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনারোধে মহাসড়ক দখল করে মালামাল রাখা ও ব্যবসায়িক লাইসেন্স না থাকায় দুজন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শব্দদূষণ প্রতিরোধে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের অভিযোগে দুইটি পরিবহন থেকে আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে সরকারি জমি ও রাস্তাঘাট বেদখল প্রতিরোধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করেন গৌরনদী উপজেলার চৌকস সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শাহতা জারাব সালেহিন, উপজেলা মেডিকেল অফিসার তৌকির আহমেদ, ডা. টিপু সুলতান এবং গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বাটাজোর এলাকার বেসরকারি মদিনা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ানের পর অবহেলায় সাথী আক্তার পরি (২২) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের পরিচালক, স্টাফ, দুজন চিকিৎসকসহ চারজনের নামোল্লেখসহ আরও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বামী ইমন আকন।



