বরিশাল
বরিশালে ভূমিকম্পের দুদিন পর টের পাওয়া গেল হেলে পড়েছে দুটি ভবন
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে দুইদিনে চার দফা ভূমিকম্প হলেও বরিশাল নগরীতে তেমন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রোববার সকালে টের পাওয়া যায় নগরীর বেলতলা এলাকায় দুটি ভবন একটি অপরটির ওপর হেলে পড়েছে। স্থানীয়রা পাঁচতলা ভবনটি পাশের নবনির্মিত চারতলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে দাবি করলেও পাচঁতলা ভবনের মালিকের দাবি তার ভবন ঠিকই আছে, বরং পাশেরটিই হেলে পড়েছে।
আর বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিদর্শনের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বেলতলা এলাকার বাসিন্দা আসিফ মাহমুদ বলেন, সকালে স্থানীয়রা রাস্তায় বের হয়ে দেখতে পানে মোতালেব মিয়ার পাঁচতলা ভবনটি পাশের সৌদি প্রবাসী জহির হাওলাদারের নবনির্মিত চারতলা ভবনের উপর হেলে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণেই ভবনটি হেলে পড়েছে।”
তিনি বলেন, মোতালেব মিয়ার ভবনের প্রত্যেকটি তলায় ভাড়াটিয়া রয়েছেন। ভবনটি হেলে পড়ায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
প্রবাসী জহির হাওলাদারের ছেলে ফাখের হাওলাদার বলেন, আজ (রোববার) সকালে দেখতে পেয়েছি পাশের ভবনটির উপর থেকে হেলে আমাদের ভবনের উপর পড়েছে। এতে আমাদের ভবনের সেইফটি ট্যাংকের পাইপ ভেঙে গেছে।”
প্রবাসীর শ্বশুর কবির সিকদার বলেন, তারা ২০২৩ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে প্ল্যান নিয়ে চারতলা ভবনটি করেছেন। নকশা অনুযায়ীই ভবনটি করা হয়েছে।
অপর ভবনের মালিক মো. মোতালেব মিয়া বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে তিনি চারতলার প্ল্যান অনুমোদন নিয়েছেন। পুরো পাঁচতলা করা হয়নি। শুধু একপাশে একটি ইউনিট পাচতলা করা হয়েছে।
মোতালেব মিয়ার দাবি তার ভবনটি নয় বরং নতুন ভবনটি হেলে পড়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ভূমিকম্পের কারণে বরিশাল নগরীতে তেমন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়নি। বেলতলা এলাকায় কোনো একটি ভবনের কাজের মান খারাপ হওয়ার কারণে হয়তো হেলে পড়েছে। ভবন দুইটি পরিদর্শন করে নিশ্চিত বলতে পারবো।”
বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রবিউল আল আমিন বলেন, বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। এখনি ঘটনাস্থলে যাবো। গিয়ে বলতে পারবো কি কারণে হেলে পড়েছে। কোনটি হেলে পড়েছে।”



