আন্তর্জাতিক
ব্যাংক কর্মকর্তা সেজে ১০ কোটি টাকা লুট
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা সেজে ৭ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা) বহনকারী একটি গাড়ি থামিয়ে অর্থ লুট করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীরা। বুধবার (২১ নভেম্বর) প্রকাশ্য দিবালোকেই কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার সীমান্ত কুমার সিং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানান, নগরীর ব্যস্ত রাস্তায় একটি এসইউভি গাড়িতে করে আসা ছয় ব্যক্তি ওই অর্থ–বহনকারী ভ্যানটি থামাতে বলেন। ভ্যানটি একটি ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় নগদ টাকা নিয়ে যাচ্ছিল। ভ্যানে ছিলেন চালক, একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং দুজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। ডাকাতরা ভ্যানের আরোহীদের কাছে নিজেদের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিবহনের জন্য সঠিক কাগজপত্র আছে কি–না, তা যাচাই করতে হবে বলে জানান।
আশপাশে সিসিটিভি না থাকায় ঘটনাস্থলের কোনো ভিডিও পাওয়া যায়নি। ডাকাতরা এ অভিযানে একাধিক গাড়ি ব্যবহার করেছে কি–না, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অর্থ–বহনকারী প্রতিষ্ঠান থানায় মামলা করেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ‘ডাকাতরা যে এসইউভিটি ব্যবহার করেছে, তাতে ছিল ভুয়া নম্বর প্লেট ও গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া লেখা স্টিকার। কোম্পানির কোনো কর্মীও ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত এসইউভিটি উদ্ধার করেছে। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি. পরমেশ্বর বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কোন গাড়িতে করে শেষ পর্যন্ত পালিয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ডাকাতরা গাড়ি বদল করে টাকা সরিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক আরও কয়েকটি বড় ব্যাংক ডাকাতির তদন্ত যেমন সফল হয়েছে, এটিও হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে গত মে মাসে বিজয়পুরা জেলার একটি ব্যাংক থেকে ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে ৫৯ কেজি সোনা চুরি হয়েছিল। যার মূল্য প্রায় ৫৩ কোটি রুপি। পরে পুলিশ ৩৯ কেজি সোনা ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করে এবং সাবেক দুই ব্যাংককর্মীসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে।
এরপর ডাকাতরা নগদ অর্থ তত্ত্বাবধায়ক ও দুই রক্ষীকে তাদের অস্ত্র ভ্যানে রেখে এসইউভিতে ওঠার নির্দেশ দেয়। চালককে বলা হয় নগদ অর্থসহ ভ্যানটি সামনে এগিয়ে নিতে। এসইউভিটি কয়েক কিলোমিটার ধরে ভ্যানটির পেছনে আসে। একপর্যায়ে ডাকাতরা চালককে ভ্যান থেকে নামিয়ে দেয়। আর এসইউভি থেকে নামানো হয় ওই তত্ত্বাবধায়ক এবং দুই রক্ষীকে। এরপর অস্ত্রের মুখে ভ্যান থেকে টাকা নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় ডাকাতরা।
আশপাশে সিসিটিভি না থাকায় ঘটনাস্থলের কোনো ভিডিও পাওয়া যায়নি। ডাকাতরা এ অভিযানে একাধিক গাড়ি ব্যবহার করেছে কি–না, সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অর্থ–বহনকারী প্রতিষ্ঠান থানায় মামলা করেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ‘ডাকাতরা যে এসইউভিটি ব্যবহার করেছে, তাতে ছিল ভুয়া নম্বর প্লেট ও গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া লেখা স্টিকার। কোম্পানির কোনো কর্মীও ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, পুলিশ ডাকাতদের ব্যবহৃত এসইউভিটি উদ্ধার করেছে। তবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি. পরমেশ্বর বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কোন গাড়িতে করে শেষ পর্যন্ত পালিয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ডাকাতরা গাড়ি বদল করে টাকা সরিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক আরও কয়েকটি বড় ব্যাংক ডাকাতির তদন্ত যেমন সফল হয়েছে, এটিও হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে গত মে মাসে বিজয়পুরা জেলার একটি ব্যাংক থেকে ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে ৫৯ কেজি সোনা চুরি হয়েছিল। যার মূল্য প্রায় ৫৩ কোটি রুপি। পরে পুলিশ ৩৯ কেজি সোনা ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করে এবং সাবেক দুই ব্যাংককর্মীসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করে।


