পটুয়াখালী
বাউফলে ২ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবসায়ী উধাও
পটুয়াখালীর বাউফলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে শামিম খান নামের এক ব্যবসায়ী উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার (২৭ জুলাই) থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এরপর থেকে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা লোকজন উদ্বেগে পড়েছেন।
শামিম খান পৌর শহরের বকুলতলা সড়কের বাসিন্দা নীল খানের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পৌর শহরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজের সামনে আনছার মিয়ার বাসার নিচতলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন শামিম। এরপর তিনি সরকারি চাকুরিজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। ব্যাংকে সুদে টাকা না রেখে ‘হালাল’ পদ্ধতিতে তার প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি মানুষের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করেন।
শামিমের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১০ লাখ, আবার কেউবা ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে কয়েকজনকে জামিনদার করে মোটা অঙ্কের ঋণও নেন তিনি। এভাবে প্রায় ২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে শামিম হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান।
প্রতারণার শিকার গৃহবধূ নাঈমা বলেন, “আমার কাছ থেকে শামিম ৯ লাখ টাকা নিয়েছেন।”
আসাদ তালুকদার জানান, “আমার বোন ও ভাগ্নির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা, প্রভাষক ফাতিমা বেগমের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, আনছার মিয়ার মেয়ে তমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং আনছার মিয়ার ছেলে রিজনকে গ্রান্টার করে ব্র্যাক থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন শামিম।”
এক ভুক্তভোগী বলেন, “শামিম মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৫-৬ বছর আগে ব্যবসা শুরু করেন। পরে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে রাতারাতি তার জীবনযাত্রা বদলে যায়। পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তিনি গা ঢাকা দেন।”
অভিযোগের বিষয়ে শামিম খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, “এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”