বরিশাল
বরিশালে ৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মাকে ফিরে পেলেন সন্তানরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৯ সালে হারিয়ে যাওয়া মাকে ২০২৬ সালের ৮ নভেম্বর গভীর রাতে হঠাৎ ফিরে পেলেন সন্তান সবুর রাঢ়ি (১৯) ও সিয়াম রাঢ়ি (১৭)। হারিয়ে যাওয়া মোসা. সালমা আক্তার (৫৫) কে ৬ বছর পর ফিরে পেয়ে সন্তানরা সহ আনন্দিত আত্মীয়-স্বজনরা। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে বেড়িয়ে আসে জীবনযুদ্ধে সালমার করুণ চিত্র। অসহায় গরীব হওয়ায় তার নির্মম ঘটনার দৃশ্য এখানেই সমাপ্ত হবে, নাকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারবে না নিয়ে উদ্বিগ্ন বরিশাল সদর উপজেলার ১ নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের সোলনা গ্রামের মুন্সি বাড়ির বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা অসুস্থ সালমাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালমা জানান, ২০১৯ সালে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বরিশাল কাশিপুর ব্যাক অফিস সংলগ্ন গেদু মিয়ার প্রলোভনে পড়ে ঢাকা ইসলামপুর নবাব বাড়ি পুকুরপাড় সংলগ্ন কাপড় ব্যবসায়ী মো. আকবর ও লাকি আক্তারের বসতঘরে কাজ নেই। ঐ পরিবার গত ৬ বছর কাজ করালেও কোনো বেতন দেয়নি। অমানুষিক নির্যাতন করার কারণে সেখান থেকে বারবার পালানোর চেষ্টা করলেও পালাতে পারিনি। করণ- বিল্ডিং এর নিচ তলায় নামতে দাপে দাপে ৩টি কেসি গেট পাড়ি দিয়ে নামতে হয়।
ঘটনার দিন তিনটি গেট খোলা ছিল। সুযোগে শূন্য হাতে নিচে নেমে ঐ বাড়ি ত্যাগ করি। মানুষের কাছে হাতে পেতে অর্থ পেয়ে অল্প অল্প পথ পাড়ি দিয়ে সড়ক পথে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে শনিবার দিন দিবাগত রাত ১২টায় আসি। কোনোদিন ভাবিনি, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে আবার ফিরে আসতে পারবো।
দেখা যায়, অসুস্থ সালমার পুরো শরীরজুড়ে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। কাজ করতে করতে দুই হাতের চামড়া পচে যাবার উপক্রমে রূপ নিয়েছে।
সালমার ছেলে সবুর রাঢ়ি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বরিশাল বিমানবন্দর থানায়। এখন পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। আর গেদু মিয়ার ধরলে ঘটনার পুরো রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) বিমান বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আল মামুন-উল ইসলাম এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।



