বরিশাল
অক্টোবরে ডেঙ্গুর থাবায় বিপর্যস্ত বরিশাল
অক্টোবর মাসে বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। এ সময়ে শুধু সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু ছাড়াও ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ‘মানুষ তার শরীর ও মনের অত্যন্ত দুর্বলতম ও নাজুক পর্যায় ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কছে যান না। ফলে হাসপাতাল সমুহে ভর্তির অন্তত ১০ গুন রোগী এসময়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভীড় বাড়তে শুরু করে।
মাস যুড়ে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বর মাসেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই ছিল। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১১ জন রোগীকে ঘরে ফেরত পাঠানোর পরেও আরো ১২০ জনকে ভর্তি করতে হয়েছে। ফলে হাসপাতালসমূহে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৪৪ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফলে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজার পৌঁছেছে। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা সাড়ে ১৭ হাজার অতিক্রম করল। এসময়ে সরকারি হাসপাতালোতেই মৃত্যুর সংখ্যাটা ৪১ জনে পৌঁছাল। যার মধ্যে অক্টোবরেই মারা গেছেন ৮ জন। এ নিয়ে গত সাড়ে ৫ মাসে বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যাটা সাড়ে ১৭ হাজার অতিক্রম করল। আর মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৪১ জনের নাম। গত সেপ্টেম্বর মাসে চলতি বছরের সর্বাধিকসংখ্যক, প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হলেও অক্টোবরের শুরু থেকে পরিস্থিতি আরো নাজুক হতে শুরু করে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বরিশালের শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮৬ জন এবং বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল সহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও আরো ৫২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের আরো কয়েকগুণ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই।



