পিরোজপুর
পিরোজপুরে মাদ্রাসাছাত্রের পায়ে শিকল বেঁ’ধে পাঠদান, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্ত
কওমী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ৬ বছরের শিশু ওসমান মল্লিক। দুই দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গেছে। এমন অভিযোগে শিশুটির পায়ে তালাবদ্ধ শিকল বেঁধে চলছিল পাঠদান। এতে শিশুটির পায়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। ওই অবস্থাতেই শিকলে পা বেঁধে পাঠদান করছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধাওয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র ওসমান মল্লিকের পায়ে শিকল বেঁধে পাঠদান করা হচ্ছে। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার, ধাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গেলে শিশু ইয়াসিন মল্লিককে শিকল মুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগী শিশু ইয়াসিন মল্লিক ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের কালাম মল্লিকের ছেলে। সে ওই কওমী মাদ্রাসার নাজেরা শাখায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করছে।
মাদ্রাসার নাজেরা শাখার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া দাবি করেন, শিশুটি ২ দফা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পর ইয়াসিনের বড় ভাই আবু বকর মল্লিক শিকল ও তালা দিয়ে যান। তার কথা মতো শিশুটির এক পায়ে শিকল পড়ানো হয়েছিল। তবে শিশুটিকে শিকল মুক্ত করা হয়েছে।
শিশু ইয়াসিনের বড় ভাই আবু বকর বলেন, ইয়াসিন মনোযোগ দিয়ে পড়তে চায় না। ২ বার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে আসে। পড়তে যেতে চায় না। এ কারণে শিকল দিয়ে এসেছিলাম। শুনেছি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার শিকল খুলে দিয়েছে। এমন কাজ আর হবে না।
এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. কাইয়ূম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই শিশুটির পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির অভিভাবক ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।



