কলাপাড়া
কলাপাড়ায় নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পায়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ জেলে জাহিদুল খানের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা।সোমবার দুপুরে সাগর থেকে উদ্ধার জেলের মরদেহ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা লালুয়া ইউনিয়নের বুড়াজালিয়া এলাকায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তে পরিবারের সম্মতি না থাকায় মরদেহের সুরতহাল শেষে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মৃত জেলের বাড়ি লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কলাপাড়া থানার এস আই আলমগীর হোসেন জানান, গত ৫ নভেম্বর বুড়াজালিয়া গ্রামের এফ বি সরোয়ার নামের একটি ট্রলারে করে ১৪ জেলে মাছ শিকারের জন্য গভীর সমুদ্রে যায়। রবিবার রাত দশটার দিকে বঙ্গোপসাগরের ধুলাসার মোহনায় সাগরে জাল ফেলে ট্রলারে বসে জেলেরা রাতের খাবার খাচ্ছিলো। এসময় পায়রা বন্দর গামী একটি জাহাজ তাদের ট্রলারের পাশ দিয়ে চলে যাওয়ায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে জাহিদুল ট্রলার থেকে পড়ে স্রোতের টানে ভেসে যায়। খোঁজাখুজির প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রলারের অন্য জেলেরা জাহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে বলে তিনি জানিয়েছেন। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এর আগে ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় ট্রলার ডুবিতে নিহত জাহিদুলের ছেলে কাওসার নিখোঁজ হয়। তার মরদেহ এখনও খুঁজে পায়নি।কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আসাদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। এদিকে পায়রা বন্দর গামী একাধিক জাহাজ রাবনাবাদ নদী ও বঙ্গোপসাগরের ধানখালী, লালুয়া, ধুলাসার মোহনা থেকে দ্রুত গতিতে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলাচলের কারণে একাধিক ট্রলার ও নৌকা ডুবিতে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। জেলেদের দাবি, পায়রা বন্দরগামী জাহাজ চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট নৌ রুট করে দেয়া হোক। যেখানে কোন যাত্রী বা মাছ ধরা ট্রলার চলাচল করবে না।