জাতীয়
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: মৃত বেড়ে ৬
রিপোর্ট দেশজনপদ ॥ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার জাহাজডুবির ঘটনায় আরও দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে জাহাজ ডুবে নিখোঁজ পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এখনও নিখোঁজ আছেন দুইজন। আর হাসপাতালে ভর্তি একজন মারা গেছেন।
কর্ণফুলীর নতুন ব্রিজ ও পতেঙ্গা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন ট্রলারের চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, স্কিপার ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, ফিশ মাস্টার মো. জহির উদ্দিন, ডক মেম্বার রহমত মিয়া ও মো. ফয়সাল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ থানার ওসি মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘জাহাজডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার সারা দিন কর্ণফুলীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্যাপ্টেনসহ ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
‘এর মধ্যে নতুন ব্রিজ এলাকায় একজনকে ভোরে পাওয়া গিয়েছিল। বাকী মরদেহগুলো দিনভর কর্ণফুলীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও প্রদীপ নামের একজন এবং জাহাজের বহিরাগত এক লোক নিখোঁজ রয়েছেন।’
ওসি জানান, ‘এফভি মাগফেরাত’ নামে ওই জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও একজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ‘এমভি সুলতান সানজা’ নামের জাহাজের নিখোঁজ ৬ জনের কাউকেই এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ্ আলম বলেন, ‘আমাদের জাহাজ অপূর্ব বাংলার মাধ্যমে তলিয়ে যাওয়া জাহাজ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড।’
কর্ণফুলীর ইছানগরে সি রিসোর্স কোম্পানির জেটি এলাকায় মঙ্গলবার রাত দেড়টায় ডক ইয়ার্ডে ওঠানোর সময় বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় এফভি মাগফেরাত।
জাহাজটির মালিকানা র্যানকন গ্রুপের। এর সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘ডক ইয়ার্ডে তোলার সময় জাহাজে প্রচুর বিদ্যুৎ তৈরি হয়েছিল। এ কারণে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে ডুবে গেছে।’