জাতীয়
চলছে তালিকা তৈরির কার্যক্রম
করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণে হিমাগার নেই দক্ষিণাঞ্চলে
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বছরের শুরুতেই দেশে করোনার ভ্যাকসিন আশার পরিকল্পনা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম-গঞ্জেও মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ নিয়ে। জানা গেছে, করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণে মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার হিমাগার প্রয়োজন। তবে বরিশাল বিভাগের একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানেও করোনার ভ্যাকসিন সংরক্ষণে মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াসের হিমাগার না থাকায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে।
অবশ্য করোনা ভ্যাকসিন বরিশালের জেলা ও উপজেলায় পৌঁছানো এবং প্রয়োগে ১৪ সদস্যের ‘ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ফাইজারের উৎপাদিত ভ্যাকসিন সংরক্ষণে মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াসের হিমাগারের প্রয়োজন। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। সেগুলো সংরক্ষণে কি তাপমাত্রার প্রয়োজন হবে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতি-নির্ধারকরা হিসাব-নিকাশ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন কোন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ভ্যাকসিন আনা হলে দেশে সংরক্ষণ সহজ হবে।
বিভাগীয় পরিচালক বলেন, ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছানোর পর সেগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পৌঁছাতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় জেলা প্রশাসককে প্রধান ও সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব এবং উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ১৪ সদস্যের ‘ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর কাজ করছেন। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে তাদের। জেলার অপর পাঁচ সিভিল সার্জন কার্যালয়েরও একই সক্ষমতা রয়েছে।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে কোন তাপমাত্রা সক্ষমের ভ্যাকসিন আনা হবে সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। যে ভ্যাকসিনই আনা হোক না কেন, সেগুলো সংরক্ষণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই ধরনের বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে তারা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। কারা ভ্যাকসিন পেতে পারেন তার একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে মাঠপর্যায়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠ কর্মীরা ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ করবেন। যেকোনো ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে চামড়ার নিচে, চামড়ায় এবং মাংসের ভেতর।
করোনার ক্ষেত্রে এর বাইরে নিয়ম থাকলে মাঠ কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।