পাথরঘাটা
এলাকায় গিয়ে মামলার আসামি বিএনপির মনি
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দীর্ঘ ১৬ বছর পর নিজ এলাকায় এসেছেন বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি। দলের নির্দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ কয়েকটি ইস্যুতে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।
তবে, এলাকায় এসে মামলার আসামি হয়ে গেলেন তিনি। একইসঙ্গে আরও ৩৯৯ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।
জানা গেছে, মনি ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম জামাল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, বিএনপি নেতা সেলিম পহলান, আবুল হোসেনসহ মোট ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু।
মামলায় ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফায়জুল মালেক সজিব, পাথরঘাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম শরীফ, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন, ছাত্রদলকর্মী হাসিব ও শাওন।
ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালানোয় এ মামলাটি করা হয়েছে। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আবদুল ছালাম সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাথরঘাটায় আসেন বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি। পথে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়ার সিঅ্যান্ডবি এলাকায় তার সঙ্গে থাকা লোকজন ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর লোকজনও এ সময় হামলা চালায়।
দুই গ্রুপের হামলা-সংঘর্ষে আহত হন নুরুল ইসলাম মনি, আলাউদ্দিন পল্টুসহ অন্তত ১২ জন। ভাংচুর করা হয় শতাধিক মোটরসাইকেল।
জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ ও সমাবেশ অংশ নেওয়ার কথা ছিল মনির। কিন্তু এলাকায় এসে হামলার শিকার হওয়ায় ক্ষুব্ধ পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপি। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, আমরা পাথরঘাটা থানায় অনুমতি নিয়েই বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু তার আগেই নুরুল ইসলাম মনির ওপর হামলা হয়েছে। তিনি বরিশালে চিকিৎসা নিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান জানিয়েছেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।