পটুয়াখালী
এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫৮ হাজার কোটি টাকা চুরি করছে হাসিনার পরিবার
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পাবনার রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজিব ওয়াজেদ জয় ও ববি মিলে ৫৮ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে শেখ হাসিনা পরিবার।
চুরি করা ৫৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ৩টি পদ্মাসেতু করা যেত। খালেদা জিয়ার আমলে যখন পদ্মাসেতু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল তখন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০হাজার ৫শত কোটি টাকা। কিন্তু সেই পদ্মাসেতুই নির্মাণ করা হয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকায়। হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে এই পদ্মাসেতু থেকে।
বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা বলেছিল আমাকে ভোট দিলে ১০ টাকায় চাল খাওয়াবো। কিন্তু এখন ৭০ টাকা কেজি দরে চাল খাচ্ছি। যিনি কথা দিয়ে কথা রাখে না তিনি মোনাফেক। তিনি বিনামূল্যে সার দেওয়ার কথা ছিল তাতো পেলোই না উল্টো ১৪শত টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়।
তিনি আরো বলেন,আওয়ামী লীগ নেতার কানাডায় বেগম পাড়া বানিয়েছে। দীর্ঘ ১৬টি বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। কিন্তু ২০১৪ সালে অটোপাশ ১৫১টি আসন, ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার আমলে রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ এ এবং বি (স্বতন্ত্র) নাম দিয়ে তামাসার নির্বাচন করা হয়েছে। তারেক রহমান বলেছেন আমাকে ভোট দেওয়া দরকার নাই, আমি চাই বাংলাদেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবে এবং যে আন্দোলন শুরু হয়েছে আগামী দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাংলাদেশ হবে। ব্যাংকগুলো আজ ফতুর হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক ভূমি মন্ত্রীর লন্ডনে ২৫৫ টা বাড়ি পাওয়া গেছে। এস আলম গ্রুপ দেশ থেকে ১ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। অন্যায়ের কারণে ৫০০ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ থেকে কোন নেত্রী পালিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন কারাগারে রাখার পরও পালিয়ে যায়নি। তাই সবাইকে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া নেত্রীকে বাদ দিয়ে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দলের পতাকা তলে সমবেত হয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
৫নং নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি মোঃ কামরুজ্জামান শহিদ মাতুব্বরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন শিকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফরুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো.ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খন্দকার, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবুল হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন প্রমূখ।
এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে পরিষদের মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। নানা স্লোগানে স্লোগানে মূখরিত হয়ে উঠে সভাস্থল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবুল হোসেন।