সারাদেশ
গাছে বাঁধা ব্যবসায়ীর লাশ, পা দুটি মাটিতে
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ফিরোজ শাহ (৩৫) নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর অর্ধ-ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি গাছে বাঁধা থাকলেও হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে লেগেছিল।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেরপুর তালুকপাড়া গ্রামের বেলগাছের ডাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফিরোজ শাহ জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে। দুপচাঁচিয়ার ফুলতলী বাজারে ‘আল্লাহর দান’ নামে ডেকোরেটর দোকান রয়েছে তার।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি মৃত্যু নাকি হত্যা।’
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শেরপুর তালুকপাড়া গ্রামে জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ডেকোরেটরের কাজ করতে যান ফিরোজ শাহ। বৃহস্পতিবার সকালে বিয়েবাড়ির পাশের পুকুর পাড়ের বেলগাছের ডালে অর্ধ-ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তবে বিয়েবাড়িতে ডেকোরেটরের কাজ করতে এসে মালিক ফিরোজ শাহের অর্ধ-ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি গাছে বাঁধা থাকলেও দুই পা মাটিতে ঠেকে ছিল। হয়তো হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কারণ লাশ দেখে মনে হচ্ছে না, এটি আত্মহত্যা।
ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের সময় দুই পা মাটির সঙ্গে ভাঁজ করা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় আপাতত অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’