বরিশাল
বরিশালে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীর ভাতিজাকে তুলে নিয়ে মারধর
বরিশালের বানারীপাড়ায় ইলুহার ইউনিয়নের পবনেরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে তিন দফা হামলা চালিয়ে দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর ভাতিজাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইলুহার ইউনিয়নের বলদিয়া মলুহার মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চায়ের দোকানের সামনে থেকে ওই মামলার বাদী নুরজাহান বেগমের ভাতিজা তৌহিদুল ইসলাম রাজুকে মামলার আসামী ইউনিয়ন বিএপির সভাপতি শাকিল আহম্মেদের অনুসারী মনির,মিঠু ও মিরাজের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি দল মোটরসাইকেলে তুলে পবনের হাটে নিয়ে ঘন্টা খানেক আটকে রেখে মারধর করেন।
এসময় তারা তাকে তার ফুফাতো ভাই ও মামলার বাদীর ছেলে সহকারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম সোহেলকে এনে দিতে ও মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গালাগাল করেন। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ আসছে জানতে পেরে তারা রাজুকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এর আগে রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারি নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন ইলুহার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, মোস্তফা কামাল, গোলাম কাওসার নবীণ, সেলিম গোমস্তা,মোঃ নিজাম, মোঃ সিরাজুল ও জাকির হোসেন। এছাড়াও মামলায় ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
ওই মামলা সূত্রে জানা গেছে,নুরজাহান বেগমসহ ১২ জন মিলে ১৯৯৭ সালে ইলুহার ইউনিয়নের পবনের হাটে ১৮ শতাংস জমি ক্রয় করে তার ২ শতাংস সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে করে আসছেন।
দোকানঘরসহ ওই সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ও দুপুরে দুই দফা এবং মামলা দায়েরের খবর পেয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তৃতীয় দফা আসামীরা হামলা চালিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এসময় তারা দোকানের পল্লী বিদ্যুতের মিটারও খুলেও নিয়ে যায়। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পেয়ে লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ লিয়াকত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ মোস্তফা বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।