কলাপাড়া
পটুয়াখালীতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্ক্র্যাপ চুরি, বিএনপি নেতাদের নামে মামলা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীতে কয়লা ভিত্তিক আরএনপিএল বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্ক্র্যাপ চুরির ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন মোল্লা ও সোহেল মোল্লাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের সবার বাড়ি উপজেলার গিলাতলা, লোন্দা ও ধানখালী গ্রামে। চুরি হওয়া মালামাল হচ্ছে তামার তার, লোহার সামগ্রী, স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী।
মামলায় বলা হয়েছে, ৯ জানুয়ারি রাতে আসামিরা বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ তামার তার, লোহার সামগ্রী, স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল চুরি করে গিলাতলা বাজারের কাছে নিয়ে স্টক করে। ১০ জানুয়ারি সকালে ওই মালামাল একটি গাড়িতে পাচারের জন্য তোলা হচ্ছিল। এ সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মীরা কর্মকর্তাদের জানালে পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সহায়তায় গাড়িসহ অন্তত আড়াই লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ টন মালামাল উদ্ধার করেন। এই চক্রটির চোরাইকৃত আরও এক ট্রাক মালামাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়ত নির্মাণাধীন এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে লোহা ও তামার স্ক্র্যাপ চুরি হচ্ছে। রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোটি কোটি টাকার স্ক্র্যাপ পাচার করছে। আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে কোনো কোনো সময় দিনের বেলাতেও এগুলো করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আরএনপিএল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশ্রাব উদ্দিন জানান, বিদুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত তামা, লোহা ও স্টিলের পাতসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পাচারের উদ্দেশে ট্রাকে তোলা হচ্ছিল।
এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সহায়তায় গাড়িসহ পাঁচ টন মালামাল উদ্ধার করেন। পরে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করি।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।