জানা-অজানা
অ্যান্টার্কটিকার বরফের রং বদলে যাচ্ছে, কেন
রহস্যময় মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। আর তাই নানা রহস্যের সন্ধানে কয়েক বছর ধরেই সেখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটকদের উপস্থিতি বরফে আবৃত মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকার বাস্তুতন্ত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন জলবায়ুবিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অ্যান্টার্কটিকায়।
চিলির সান্তিয়াগো ডি চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যান্টার্কটিকার পর্যটকদের অবতরণস্থল ও বিভিন্ন গবেষণা স্টেশনের আশপাশে থাকা বরফ প্রতিবছর কালো হয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনের জন্য অ্যান্টার্কটিকায় যাওয়া জাহাজ, হেলিকপ্টার, প্লেন, ট্রাক ও ডিজেল জেনারেটর থেকে উৎপাদিত কালো কার্বনকে দায়ী করছেন তাঁরা। আর তাই অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটকবাহী ক্রুজ জাহাজ থেকে কার্বন নির্গমন বেশ বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটকদের ভ্রমণের ফলে যাত্রীপ্রতি ৫.৪৪ টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গত হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকায় একটি তাপপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছেন। সব মিলিয়ে অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ুর ওপরে পর্যটকদের উপস্থিতি বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। এ প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। আর তাই অ্যান্টার্কটিকায় পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।