বরিশাল
সম্মাননা পেলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তিন ছাত্রী
বরিশালে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তিন ছাত্রীকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সম্মাননা পাওয়া তিন জন হলেন—বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্পণা, সরকারি বিএম কলেজের লাবণ্য ও একই কলেজের সুমি হক। এর মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘স্লোগান’ ক্যাটাগরিতে অর্পণা, ‘ফ্রন্ট লাইনার’ ক্যাটাগরিতে লাবণ্য ও ‘গ্রাফিতি আঁকা’ ক্যাটাগরিতে সুমি হক সম্মাননা পান।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সমাজসেবা অধিদফতরের জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। সমাজসেবা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন।
সমাজসেবা অধিদফতর থেকে সম্মানিত করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিন ছাত্রী। এ সময় অর্পণা বলেন, ‘আমরা সম্মাননা পাওয়ার আশায় আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনটা ছিল ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে দেশ থেকে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলাম। তবে সমাজসেবায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুদান প্রাপ্তিতে মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। যাদের প্রাপ্য তারা অনুদান পাচ্ছেন না। এসব ক্ষেত্রে যোগ্যদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। আর যাদের অনুদানের প্রয়োজন নেই, এরপরও অনুদান নিচ্ছে তাদের নাম বাতিল করার দাবি জানাই।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিআইজি মঞ্জুর মোরশেদ আলম, সমাজসেবা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আখতারুজ্জামান তালুকদার ও সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ প্রমুখ।
এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত ৩৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এরপর দুস্থদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আবিষ্কারের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। বেলা ১১টায় বেলস পার্ক থেকে র্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে র্যালিটি সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।