কলাপাড়া
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন/ কুয়াকাটা সৈকত হাজারও পর্যটকের পদভারে মুখরিত
বৃহস্পতিবার শেষ বিকালে শীতের হালকা কুয়াশায় পশ্চিমাকাশে ডুবে যাবে সূর্য। ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে বিদায় নিবে ২০২৪ সাল। স্মৃতি হয়ে যাবে ৩৬৫ দিন, জানুযারি থেকে ডিসেম্বর ১২ টি মাস, ২০২৪ সাল। সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব ভুলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা সকলের। বিদায় বেদনার মাঝে প্রভাতে পূর্বাকাশে নতুন সূর্য ওঠার প্রতীক্ষা। হবে ২০২৫ সালের শুভ সূচনা। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে পালন করা হবে থার্টি ফার্স্ট নাইট। নাইটটি উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এসেছেন হাজারও পর্যটক।
পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় শীতের হিমেল গোধুলী লগ্নে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় আর নতুন বছরের প্রভাতের সূর্যোদয়কে স্বাগত জানিয়েছে হাজার হাজার পর্যটক। তবে গত কয়েক বছরের চেয়ে এবছর পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা কম। কুয়কাটা সৈকতসহ সকল দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের উপস্থিতি রয়েছে। পর্যটকদের আতিথেয়তা দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে পর্যটন ব্যবসায়ী আর ট্যুরিস্ট।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভুমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি ভ্রমণ বিলাসী মানুষকে বারবার টেনে আনে সমুদ্রের কাছে। প্রতিবছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়কাটা। বিজয় দিবস, দুটি ঈদ, বড়দিন, ইংরেজী নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশী-বিদেশী প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সাগরকন্যার দীর্ঘ বেলাভূমি। পুরানো বছরকে বিদায় আর ইংরেজী নতুন বছরকে বরণে পর্যটকের পদচারণায় এখন মুখরিত কুয়কাটা সমুদ্র সৈকত।
সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে ভোরের সূর্যোদয় আর গোধূলি বেলার সূর্যাস্ত দেখে বিমোহিত পর্যটকরা। দর্শনীয় স্থানসহ পর্যটনমুখী ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতি রয়েছে। তবে এ বছর আবাসিক হোটেল-মেটেল-কটেজের ৩০-৪০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, এ বছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা পর্যটকের তেমন উপস্থিতি নেই। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ আঃ মোতালেব শরীফ বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা কম। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৪০% ছাড় দেওয়া হয়েছে।’