পটুয়াখালী
বাউফলে দলীয় নেতাদের মারধর : ছাত্রদলের আহবায়ক-সচিবকে শোকজ
পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপি দলীয় সিনিয়র নেতাদের মারধরের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম ও পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাদিকুজ্জামান রাকিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না, সেই মর্মে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান ও সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদের নিকট লিখিত ও মৌখিক ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হারুন অর রশীদ সাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুজাহিদুল ইসলাম ও সাদিকুজ্জামান রাকিবের সংযোগ পাওয়া যায়নি।
চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুজাহিদুল ও সাদিকুজ্জামন দীর্ঘ ১৫ বছর বাউফলের রাজপথে ফ্যাসিবাদ বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত না।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাউফলের ছাত্রদলের ওই দুই নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার।’
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ জানান, ‘গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ও ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে জমি দখল সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাকে প্রকাশ্য রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে মারধর করেছে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম এবং বিজয় দিবসের র্যালিকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও সেচ্ছাসেবক দলের একজন যুগ্ম আহবায়ককে মারধর করার ঘটনায় পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাদিকুজ্জামান রাকিব সরাসরি জড়িত ছিলো।’
এধরনের কর্মকান্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাদের ২৪ ঘন্টা সময় দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান জাকারিয়া আহম্মেদ।