বরিশাল
বরিশালে ভাইয়ের কবরে ভাইয়ের ঝাড়ু পেটা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত
নিজস্ব প্রতিবেদক : পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে ভাইয়ের কবরে ভাইয়ের ঝাড়ু পেটার ভিডিও ইতোমধ্যে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এ ঘটনায় মৃত শাহেদ আলীর স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন আমলী আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া খান বাড়ির মৃত মোশারফ আলী খানের মেঝ ছেলে শাহেদ আলী খান ও ছোট ছেলে আইয়ুব আলী খানের সাথে পারিবারিক ও জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘ দিন যাবৎ চলে আসছিলে।
বছর দুই পূবে শাহেদ আলী মারা যায়। শাহেদ আলী মারা যাওযা বচর খানিক পর ছোট ভাই আইয়ুব আলী বিভিন্ন সময় মৃত শাহেদ আলীর স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে ৩ শতাংশ জমি দাবি করেন, তিনি বলেন শাহেদ জমি দেয়ার কথা বলে পনের হাজার টাকা নিছে, জমি না দিয়ে মারা গেছে, কিন্তু তার কাছে কোন প্রমান নেই। মৃত শাহেদের পরিবার পনেরো হাজার টাকা ফেরত দিতে চাইলে তা নিতে অপারগতা স্বীকার করে আইয়ুব।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে মৃত শাহেদের ঘড়ের সামনে আইয়ুব আলী ও নাসিমা বেগমের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনাম ৩/৪ জন লোহার রড, গাবের লাঠি ও ঝাড়ু নিয়ে জমির দাবিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এতে মৃত শাহেদের স্ত্রী রেহানা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকে এলোপাথাড়ি পিটায় এবং শরীরের কাপড় চোপড় টানা হেচরা করে শ্লীলতাহানি ঘটায় ও রেহানার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় ছেলে আরাফাত মাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও বেধরক মারধর করে।
মারধরের একপর্যায়ে মৃত শাহেদ আলীর ঘরের সামনে শামিম জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবর স্থানে আইয়ুব আলী ঠুকে মৃত শাহেদের কবর ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এবং মৃত শাহেদ আলীর প্রতি অসৌজন্য প্রদর্শন করে প্রতিহিংসা বসত ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করে। ডাক চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আইয়ুব আলী হুমকি দিয়ে বলে ৭ দিনের মধ্যে ৩ শতাংশ জমি না দিলে মৃত শাহেদের স্ত্রী সন্তানকে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দিবে বলে চলে যায়। স্থানীয়রা অহত অবস্থায় রেহেনা বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন, পরবর্তীতে শারিরিক অবস্থার অবনতি দেখে শেবাচিমে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপার অভিযুক্ত আইয়ুব বলেন, ভাইয়ের কাছ থেকে ৩ শতাংশ জমি কিনছি কিন্তু দলিল হওয়ার আগে তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে তেমন কোন লিখত বা প্রমান নেই। কবরে ঝাড়ু পেটার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন রাগের বসে আমার ভাইয়ের কবরে ঝাড়ুপেটা করা আমার অন্যায় হইছে।
এ ঘটনায় মামলার বাদী শাহেদের স্ত্রী রেহানা বেগম জানান, ঘটনার দিন মারামারি এক পর্যায়ে আমার দেবর আইয়ুব আমার স্বামী শাহেদ আলীর কবরে দুটি ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে এবং আমার মেয়েরা বাবার কবরে ঝাড়ু দিয়ে পিটানোর ভিডিও জানালা দিয়ে মুঠো ফোনে ধারন করলে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আইয়ুবের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি আশা করি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মত ঘটনা ঘটানোর কেউ সাহস না পায়।