পটুয়াখালী
আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সরকারি গাছ কর্তন
পটুয়াখালীর বাউফলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কাটা হচ্ছে সরকারি সড়কের পাশের পরিবেশবান্ধব গাছ। বগা–বাহেরচর আঞ্চলিক মহাসড়কে এলজিইডির ১৮টি গাছ বিক্রি করেছেন প্রভাবশালী সমর মাস্টার। গাছগুলো কিনে কেটে নিচ্ছেন কালিশুরি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল ফকির।
রবিবার (১৪জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাছিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কাছিপাড়া গ্রামে গাছগুলো কেটেছেন শ্রমিকেরা। তবে কিছুই জানেনা এলজিইডি কিংবা বনবিভাগ।
পরিবেশবিদ ও প্রকৃতি প্রেমীরা জানান, পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন Human Rights and Peace for Bangladesh (HRPB) ২০২৪ সালের মে মাসে গাছ কাটায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন। হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন। সরকারি কিংবা সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা অবৈধ। জেলা উপজেলায় কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটির অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটায় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধজ্ঞা আরোপ করা হয় ওই আদেশে।
এইসময় আদালত মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় গাছের সংখ্যা কম এবং দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত গাছ কাটা পরিবেশের ভারসাম্য ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এদিকে, গাছগুলো সরকারের নয়, তার ব্যক্তিগত বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গায়েন বলেন, গাছগুলো আমাদের নয়। আমাদের সবগাছ রাস্তা নির্মাণের জন্য বনবিভাগের মাধ্যেমে কেটে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে বনবিভাগ সকল ব্যবস্থাগ্রহণ করে বলেও জানান তিনি।
বাউফলের উপজেলা বন কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, আমরা এলজিইডির কোনো গাছ কাটি নাই। প্রকৌশলী হয়তো দায় এড়াতে এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জানুয়ারিতে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর থেকে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়াই বন্ধ রেখেছি। এলজিইডির আমাদের জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বন কর্মকর্তা।