সারাদেশ
টিকটক নিয়ে দ্বন্দ্ব, এক শিশুর হাতে প্রাণ গেল আরেক শিশুর
নাটোরের বড়াইগ্রামে মিনহাস হোসেন আবীর (৯) নামে এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টিকটক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আরেক শিশুর মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে সামান্য দূরে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের মহিষভাঙ্গা এলাকার নির্মাণাধীন একটি মসলা ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতের পাশ থেকে আবীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবীর বনপাড়া পৌর শহরের মহিষভাঙ্গা মহল্লার মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে ও বনপাড়া আদিব ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে হযরত আলী মোল্লা নামে আরেক শিশুকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত হযরত একই এলাকার রিয়াজুল ইসলাম মোল্লার ছেলে ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
মোবাইল ফোনে টিকটক করা নিয়ে হযরত আলী মোল্লার সঙ্গে দ্বন্দ্ব হলে প্রথমে উভয়ের মধ্যে কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে। পরে হযরত আলী পাশে থাকা ইট দিয়ে আবীরের মাথায় ও মুখে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে আবীর সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। তার কাছে একটি স্মার্টফোনও ছিল। সন্ধ্যা গড়িয়ে এলেও আবীর বাড়িতে না ফেরায় মা-বাবা ও স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর রাত ৯টার দিকে আবীরের রক্তমাখা সাইকেলটি মসলা ফ্যাক্টরির পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা। এরপর মাটিতে রক্তের দাগ অনুসরণ করে নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতের পাশ থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসময় তার মাথার আশেপাশে কয়েকটি ইট পাওয়া যায়। যা দিয়ে শিশু আবীরের মাথায় ও মুখে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, আটক হযরতকে আদালতে হাজির করা হবে। বয়সে শিশু হওয়ায় তার বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দিবে।