বরিশাল
প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে ধর্ষণ, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালের মুলাদীতে টাকা-স্বর্ণালংকারসহ প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার মুলাদী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা এবং বিয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম সিকদার, তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের চরনাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা ইব্রাহীম গত বছর ৫ আগস্টের পরে এলাকায় আসেন। এর পর তিনি আমার থেকে ২ লাখ টাকা ধার নেন। এর মধ্যে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় ইব্রাহীম সিকদার ৫ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকারসহ আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান।’
ভুক্তভোগী আরও জানান, ঢাকায় ইব্রাহীম তাঁকে একটি বাসায় প্রায় তিন মাস আটকে রাখেন। বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ইব্রাহীম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ২২ জুন এলাকায় ফিরে এসে তাঁকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা তাঁকে গ্রহণ না করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
তবে ছাত্রদল নেতা ইব্রাহীম সিকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রবাসীর স্ত্রী আমার সঙ্গে ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এখন এলাকায় ফিরে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ ও টাকা-স্বর্ণালংকারের বিষয় উল্লেখ করে থানায় মামলা করে থাকতে পারেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দীন ঢালী বলেন, ‘ইব্রাহীম সিকদার নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসীর স্ত্রী ছাত্রদল নেতা ও তাঁর বাবা, মা, বোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’