বরিশাল
৫ দাবিতে বিএম কলেজে শিক্ষার্থীদের তালা, সড়ক অবরোধ
জলাবদ্ধতা, আবাসনসংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। এতে নগরীর নতুন বাজার থেকে নথুল্লাবাদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিএম কলেজে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। অথচ তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা নেই; যা রয়েছে, সেগুলোও বেহাল। বৃষ্টি নামলে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই তাঁরা জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সড়ক ও নালা সংস্কারের দাবি করেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা মাঠ ভরাট, কলেজের মিলনায়তন সংস্কার, বিভিন্ন বিভাগের অবকাঠামো সংস্কার ও শিক্ষকসংকট নিরসন করে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলে ধরেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যত দিন পর্যন্ত তাঁদের দাবি আদায় না হবে, তত দিন পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার গা থেকে এখনো ছাত্রত্বের ঘ্রাণ যায়নি। তাই আমি বুঝি, হলে থেকে লেখাপড়া করা কত কষ্টের। আমরা এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেব। আগেই যদি আপনারা আন্দোলন করেন, তাহলে কেমন হবে।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আপনাদের আবাসনব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। আপনাদের সড়কের জলাবদ্ধতাও আশা করি ১৫ দিনের মধ্যে দূর হবে। ছাত্রাবাস মেরামতের জন্য ৭০ লাখ টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
তবে শিক্ষার্থীরা এই আশ্বাস না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তিন দিনের সময় চেয়েছি। আগামী ৩ দিনের মধ্যে অন্তত তিনটি কাজ শুরু করব। বাকিগুলোর দাপ্তরিক কাজও শুরু হয়ে যাবে। সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্দোলন স্থগিত রাখার আহ্বান জানাই।’