পটুয়াখালী
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো পটুয়াখালীর সাইদুল পেল রিকশা
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে চোখের আলো হারিয়ে অন্ধকারে ডুবে যান পটুয়াখালীর যুবক সাইদুল। তবে তার জীবনে নতুন করে আশার আলো জ্বালিয়েছে কিছু হৃদয়বান মানুষ। বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত। তুলে দিয়েছেন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম একটি রিকশা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আখতার উদ্দিন মিলনায়তনে সাইদুলের হাতে রিকশাটি তুলে দেওয়া হয়।
উপহারটি সাইদুলের হাতে তুলে দেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দি ডেইলি স্টারের পটুয়াখালী প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন।
সাইদুলের জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হৃদয়বানদের নজরে পড়ে। তিনি ওই গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে সাইদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা উপহার দেন।
রিকশাটি পেয়ে সাইদুল বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ।’ আমার এই সময়ে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি শুভকামনা। এখন আমি রিকশাটির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারব। সমাজের হৃদয়বান এসব মানুষের জন্য আজও মানবতা টিকে আছে। এছাড়া আমার দুঃসময়ে স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে দেড় বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চলে গেছে।
তিনি আরও জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে শামিল হন তিনি। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওই সময় আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও জনতা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার সময় তার চোখ থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়। পরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আরও এক সপ্তাহ চিকিৎসা নেন তিনি। সেখানে তার চোখে অপারেশন করা হয়। স্প্লিন্টারের আঘাতে তার বাম চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।