কলাপাড়া
পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা
পর্যটক আসতে শুরু করেছেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। রোববার (৮ জুন) সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড়, আড্ডা ও পরিবার নিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা।
দীর্ঘদিনের পর্যটক খরা কাটিয়ে ঈদপরবর্তী সময়ে ব্যস্ততা বেড়েছে এখানকার ব্যবসায়ীদের। তাদের বরণে নানা প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল, ঝিনুক, কিটকটসহ ১৬ পেশার কয়েকশ ব্যবসায়ী।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক বলেন, ‘কুয়াকাটায় আসছি এ প্রথম। অনেক লোক দেখে ভালো লাগছে। বেশ আনন্দ-উল্লাস করছি।’
খুলনা থেকে আসা সুমন চন্দ্র জানান, ‘আগেও কুয়াকাটায় এসেছি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানের চেয়ে কুয়াকাটয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। তাই কুয়াকাটায় বারবার আসি।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ তাপস চন্দ্র রায় বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বিভিন্ন পয়েন্টে পোশাক ও সাদা পোশাকে কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তাদের সহযোগিতা করছে ফায়ারসার্ভিসের একটি টিম।’
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মো. শাহিন আলম জানান, ‘হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্টে, ক্যামেরাসহ পর্যটকদের সেবা দেওয়া সব পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি সেরেছি। আশা করছি ছুটিতে ভালো পর্যটক আসবে।’
সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের এজিএম আল-আমিন উজ্জ্বল জানান, ‘আমাদের হোটেলগুলোর প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। বুকিংটা ৯-১০ তারিখের বেশি। অন্য দিনগুলোতে একটু কম। তবে আমরা প্রস্তুতি কমতি রাখিনি।’
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ‘কুয়াকাটায় দুইশোর বেশি আবাসিক হোটেল রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলে ইতোমধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির হোটেল ৫০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।’