পিরোজপুর
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি আউয়ালের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভুয়া সনদপত্রের মাধ্যমে একটি কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন, এ কে এম এ আউয়াল এবং অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের (৫৫) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে দুদক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ পান পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজের দাতা সদস্য এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন।
প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে এটি সরকারীকরণ করা হয়। এরপর লায়লা পারভীন কলেজটির প্রভাষক হিসেবে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন।
তবে নিয়োগ পরীক্ষায় লায়লা পারভীন এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পরীক্ষা পাসের যেসব সনদ দিয়েছেন, তা ভুয়া। মূলত স্বামীর প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভুয়া সনদ দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।