বরিশাল
বাবুগঞ্জ কলেজে প্রতীক পেলেন ৩ প্রার্থী, স্থগিত ১ জনকে শোকজ
বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে ৩ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে মেয়ের দ্বৈত ভর্তির তথ্য গোপন ও প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে এক অভিভাবক সদস্য প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। শোকজপ্রাপ্ত প্রার্থী হলেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান করণিক ও অভিভাবক সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল সিকদার।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া ৩ অভিভাবক সদস্য প্রার্থী হলেন- সরকারি বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজিজুল হক (দোয়াত-কলম), রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হারুন-অর-রশিদ (চেয়ার) এবং বাবুগঞ্জ বন্দরের ব্যবসায়ী এনায়েত সিকদার (বই)। বুধবার (৪ জুন) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক সদস্য প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আ.ন.ম আবদুল হালিম।
প্রতীক বিতরণকালে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহে আলম, সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুজন সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল রহিম, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সম্পাদক আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল্লাহ মামুন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সম্পাদক রোকন মিয়া, সাংবাদিক আবুল বাশার, রফিকুল ইসলাম ছোটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আ.ন.ম আবদুল হালিম বলেন, ‘বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান করণিক ও প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম এবং তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর ৩ প্রার্থী সম্মিলিতভাবে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তার মেয়ে ২০২০ সালে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ এইচএসসি পাস করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ইংরেজি বিভাগের নিয়মিত ছাত্রী হিসেবে চাখার শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়ন করছেন। একইসঙ্গে তিনি আবার সেই তথ্য গোপন করে নিজের মেয়েকে অত্র কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) শাখায় ভর্তি দেখিয়ে অভিভাবক ভোটার হয়েছেন এবং অত্র নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। এমন গুরুতর অনিয়মের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তার প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং তার জবাব পাওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’