পিরোজপুর
পিরোজপুরে দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর, গ্রেপ্তার ৫
পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উড়িবুনিয়া গ্রামে পুলিশের তদন্ত কাজে বাধা ও হেনস্তার অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন ব্যাপারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় বেআইনিভাবে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে সাধারণ ও গুরুতর জখম, পোশাক ছিঁড়ে ফেলা এবং অবরুদ্ধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার পর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মাসুম তালুকদার (৪৮), মো. মারুফ তালুকদার (২৫), মো. সিরাজ (১৮), মো. তানভীর তালুকদার (২৩) ও মো. রাসেল (১৭)। তারা সকলেই উড়িবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত রোববার (১ জুন) এসআই নাসির উদ্দিন বেপারী ও কনস্টেবল জিয়াউল হক একটি অভিযোগের তদন্তে বলদিয়া ইউনিয়নের উড়িবুনিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডে যান। সেখানে স্থানীয় যুবদল নেতা সুলতানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে সুলতানের ভাইকে দেখে উত্তেজিত জনতা হামলা চালাতে উদ্যত হয়। পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে এসআই নাসির উদ্দিন ভিডিও ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পানিতে ফেলে দেয় এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। এ সময় তাকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজও করা হয়, যা তদন্ত কার্যক্রমে সরাসরি বাধা সৃষ্টি করে।
স্থানীয়রা জানান, যুবদল নেতা মো. সুলতান তালুকদার ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে জুয়া খেলায় বাধা দেওয়ায় হুমকি ও মারধরের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ এ হামলার মুখে পড়ে।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন জানান, পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।