ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। রোববার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইয়েমেন থেকে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিমান হামলার সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে রোববার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরায়েলি আকাশে এই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হওয়ার পরপরই সাইরেন বাজিয়ে বিভিন্ন শহরের বাসিন্দা সতর্ক করে দেয় ইসরায়েলের বাহিনী।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের একাধিক অঞ্চলে সাইরেন বাজানোর পরপরই ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ইসরায়েলে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলার দাবি করছে হুথি গোষ্ঠী।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।

হুথিরা দাবি করেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে এসব হামলা চালাচ্ছে। গাজায় গত মার্চে শেষ হওয়া দুই মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় হামলা বন্ধ রেখেছিল হুথি বিদ্রোহীরা। তবে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ফের সামরিক অভিযান শুরু করায় হুথিরাও হামলা শুরু করে।

ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেন থেকে ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে। গত মে মাসের শুরুর দিকে হুথিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরে আঘাত হানে।

ইসরায়েল এসব হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইয়েমেনে একাধিক পাল্টা হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর ও অন্যান্য বন্দরও রয়েছে।