বরিশাল
দক্ষিণাঞ্চলের ৭ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণের পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদ-নদীর পানির উচ্চা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছে। বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১৯টি পয়েন্টের পানি প্রবাহ পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, ৭টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি জেলার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার, তজুমুদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে সুরমা-মেঘনা নদী বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার এবং বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভিন্ন লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি নামতে শুরু করলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিতে পারে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আরও ১২টি পয়েন্টের পানি প্রবাহ পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেগুলোতে পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এর মধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, পায়রা, বিশখালী, বুড়িশ্বর, লোহালিয়া, উজিরপুরের স্বরুপকাঠি নদী, টরকি নদী, বাবুগঞ্জ নদী, হিজলার ধর্মগঞ্জ নদী, পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাত আর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে বরিশালের মেঘনা তীরবর্তী হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, স্বরূপকাঠি, নাজিরপুর, ভান্ডারিয়া, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, বেতাগী, আমতলী, তালতলী, ভোলা জেলার চরফ্যাশন, তজুমদ্দিন, দৌলতখান উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত নদী উত্তাল থাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল অফিস।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে। আমা করছি দ্রুতই আবহওয়া পরিস্থিতি উন্নত হবে।