বরিশাল
ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ, পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাগ্বিতণ্ডা
বরিশাল নগরীর ফুটপাতে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে। বিবির পুকুরপাড়ের উত্তর পাশের হেমায়েত উদ্দিন রোডের মুখে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দোকানদারেরা। পরে পুলিশ সদস্যরা উচ্ছেদ না করে ফিরে যান। এ বিষয়ে পুলিশ দাবি করেছে, নগরবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এই উচ্ছেদ চলছে।
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম খান (৫০) বলেন, ‘সড়কে এক পাশে অল্প জায়গায় ২১ বছর ধরে ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছি। ১৫ মে পুলিশ এসে আমাদের দোকানের আসবাবপত্র ও খাবার ফেলে দিয়ে এখান থেকে সরে যেতে বলে। এখন প্রতিদিন পুলিশ এসে আমাদের ১৮-২০টি দোকান উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে। এখানে বছরের পর বছর চটপটি, ফুচকা, ঝালমুড়ি বিক্রি করে আমরা সংসার চালাচ্ছি। দোকান উচ্ছেদ হলে চরম বিপদে পড়ব।’
ঘটনাস্থলে থাকা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুজয় শুভ জানান, পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ বিবির পুকুরের ভাসমান দোকানিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। তিনি তাঁদের বলেছেন, পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ সঠিক হবে না। আপনারা তাঁদের শর্ত দিন। তাঁরা দোকানের নামে রাস্তা আটকাতে পারবেন, না এমন শর্ত। কিন্তু তাঁরা বলছেন, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ এখান থেকে সরাতেই হবে।
তিনি অবশ্য পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছেন, রাস্তার পাশে লাইন দিয়ে এত সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকছে কেন। অবশ্য এর কোনো জবাব দেয়নি পুলিশ। তিনি বলেন, একদল গরিবের পেটে এভাবে লাথি মারলে তারা খাবে কী বলেন। এটা কি ঠিক হচ্ছে?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দোকানি বলেন, ‘আমরা দোকান বসালে সমস্যা। আর একই জায়গায় যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তা কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে না? তিনি বলেন, এখন কার স্বার্থ দেখা দরকার।’
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক দখল হয়ে যাওয়ায় নগরবাসীর চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই উচ্ছেদ অভিযান চলছে। দোকানদারদের পুকুরের অন্য পাশে চলে যেতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।