আমতলি
বরগুনায় হাঁসের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচিকে কুপিয়ে জখম করলো ভাতিজা
বরগুনার আমতলীতে হাঁসের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচি নার্গিস বেগমকে (৪২) তাঁর ভাশুরের ছেলে শামীম হাওলাদার কুপিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কড়াইবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত নার্গিস বেগমকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা কড়াইবুনিয়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের স্ত্রী নার্গিস বেগমকে তাঁর জামাতা ২৪টি হাঁসের বাচ্চা লালন-পালনের জন্য দেন। এগুলোর মধ্যে আটটি ভাশুর সৈয়দ হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হয়।
চাচি নার্গিস বেগমের দাবি, শামীম বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। আজ সকাল ১০টার দিকে শামীম ও তাঁর সহযোগী ইমরান খাঁচা ভেঙে হাঁসের বাচ্চা জোর করে নিয়ে যান। এ সময় নার্গিস বেগম বাধা দিলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
নার্গিস বেগম বলেন, ‘আমার হাঁসের বাচ্চা শামীম ও তার সহযোগী ইমরান নিয়ে গেছে। আমি এতে বাধা দেওয়ায় শামীম আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে চাচিকে কুপিয়ে আহত করার কথা অস্বীকার করে শামীম হাওলাদার বলেন, ‘আমার হাঁসের বাচ্চা চাচি চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। ওই বাচ্চা আমি তার খাঁচা থেকে ধরে এনেছি।’
স্থানীয় সালিসদার মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘সালিসে শামীমকে আমি ব্যক্তিগতভাবে হাঁসের বাচ্চা কিনতে ১ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন শুনতে পাচ্ছি, শামীম তার চাচিকে মারধর করেছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, নার্গিস বেগমের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’