পটুয়াখালী
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক সমমান করার দাবিতে পটুয়াখালীতে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে শহরের বড় চৌরাস্তায় অবস্থান নিয়ে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করলে পুরো মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার এ অবরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রুটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমা ডিগ্রিকে স্নাতক সমমানের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাঁরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিগ্রি বাস্তবায়ন কমিটি, পটুয়াখালী জেলা শাখার নেতারা বলেন, এইচএসসি পাসের পর তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স একটি পূর্ণাঙ্গ উচ্চশিক্ষা হওয়া সত্ত্বেও স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। এতে কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা ও পেশাগত স্বীকৃতিতে তাঁরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী অশ্রু মিত্র বলেন, ‘নার্সরা স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ শিক্ষাগত মর্যাদা নিয়ে এ ধরনের অবহেলা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারকে অবিলম্বে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে, না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’
পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাওলাদার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আরও এক ঘণ্টা কর্মসূচি পালন করেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাওলাদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি জানাচ্ছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হয়। তাদের দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আমরা পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে সচেষ্ট ছিলাম। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’