বরিশাল
বরিশালে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে বিসিসির সড়ক নির্মাণ, ক্ষুব্ধ জমি মালিক
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল শহরের নথুল্লাবাদ এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে সড়ক নির্মাণ করছে সিটি কর্পোরেশন। জমির মালিককে কোনো কিছু অবহিত না করেই কয়েকদিন ধরে খালপাড়সংলগ্ন ‘সেন্টার পয়েন্ট’ মার্কেটের ভূমিতে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তোভুগী ভূমি মালিক ইস্তাফিজুর রহমান মুন্না।
অবশ্য ঠিকাদার খন্দকার আবুল হোসেন লিমন দাবি করেছেন, রাস্তা নির্মাণে ভূমি কমবেশি বা কার জমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলছে পারছেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে তাকে যে ভাবে নির্দেশনা বা মাপঝোক করে দেওয়া হয়েছে, তিনি সেভাবেই সড়কটি নির্মাণ করছেন।
ভূমি মালিক ইস্তাফিজুর রহমান মুন্না জানিয়েছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটের জমি দখলের চেষ্টা করেছিলেন কতিপয় ব্যক্তি-বিশেষ। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে তারা ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা করে দখল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। গত বছর আওয়ামী শাসনের পরিসমাপ্তির আগেই ভূমির অভ্যন্তর দিয়ে রাস্তা বের করতে তোড়জোড় দেখা যায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলতে স্বৈরাচার বাহিনী পালিয়ে যায়, এতে হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়া গেলেও সিটি কর্পোরেশন রাস্তাটিকে টেন্ডারে নিয়ে আসে। এই ভূমিতে কিছুদিন ধরে সড়ক নির্মাণ করছেন ঠিকাদার বিএনপি নেতা আবুল হোসেন লিমন।
মুন্নার অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রেও অনিয়ম হচ্ছে, ঠিকাদার সড়কের এক মাথা প্রশস্থ করলেও অপরপ্রান্ত সরু করেছেন। বিষয়টি তাদের এবং সিটি কর্পোরেশনকে একাধিবার অবহিত করা হলেও কোনো সুফল মেলেনি। তবে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে ২/৩ দিন ধরেই বলা হচ্ছে পুরো রাস্তার পরিমাপ সমান্তরাল হবে।
তবে এখানে অনিময় বা দুর্নীতি করার সুযোগ নেই জানিয়ে ঠিকাদার লিমন বলছেন, নির্মাণাধীন সড়কে পূর্বপাশে জনৈক ব্যক্তি দোকান পড়েছে, তাকে ভেঙে ফেলতে বলা হয়। স্থাপনা সরিয়ে নেই, নিচ্ছি করেও সরাচ্ছেন না। বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনকেও অবহিত করা হয়েছে, সেখান থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত তাদের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থাপনা না সরিয়ে নিয়ে বৃহস্পতিবার সিটি কর্পোরেশন থেকে আড়াই এসে ব্যবস্থাগ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
ইস্তাফিজুর রহমান জানান, তাদের ভূমির ওপর দিয়ে রাস্তা করায় এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তার অভিযোগ, রাস্তাটির পশ্চিম অংশ তাদের মার্কেট ভবনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে বরিশাল সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রাপ্তির পরে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অভয় দিয়েছেন।’