বরিশাল
বরিশালে বাড়িতে ডুকে ভাই-ভাবিকে পেটালো ননদ-ভাগীনা
নিজস্ব প্রতিবাদক : বরিশাল নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ড ফিসারী রোডস্থ চহুৎপুরে মাতব্বর বাড়িতে ডুকে ভাই-ভাবিকে বেদম পিটিয়েছে ননদ ও তার ছেলেসহ সাংঙ্গপাঙ্গরা। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। বোন-ভাগীনাদের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী সোহেল ও তার স্ত্রী এ ঘটনায় থানা অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় মৃত মাকসুদুর রহমান মাতব্বরের ছেলে মো: সোহেল মাতব্বর ও তার স্ত্রী-সন্তানের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এজাহারভুক্ত ৮ আসামিসহ অজ্ঞতনামা আরও ৫/৬ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
এজাহারভুক্তরা আসামীরা হলেন- মো: রফিকের ছেলে মো: বাইজিদ, আলম মুন্সির ছেলে মো: ছাকিন, মো : রফিকের মেয়ে মোসা: ইপ্তী, মো : রফিকের স্ত্রী মিষ্টি বেগম, শাহ আলম মাতব্বরের স্ত্রী মোসা: তামান্না বেগম, মিলন মাতব্বরের স্ত্রী ডলি বেগম, রফিক মুন্সির ছেলে মোহাম্মদ ইশাত।
ঘটনার তদন্ত সুত্রে স্থানীয় মাধ্যমে এ তথ্য পাওয়া গেছে
হামলার ইন্ধনদাতা হিসেবে চহুৎপুর নিবাসী মৃত. হাফিজ উদ্দিন মুন্সির ছেলে এবং ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো: রফিক মুন্সি প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত।
এয়ারপোর্ট থানার অভিযোগ এবং সিসি টিভি ফুটেজের বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে।
গত রবিবার বিকাল ৪ টার দিকে নিজ বাড়িতে কাশিপুর বাজার ব্যাবসায়ী মো: সোহেল মাতব্বর ও স্ত্রী হামলার শিকার হন।
হামলায় গুরুতর আহত ব্যাবসায়ী মো: সোহেল মাতব্বর জানান- আমার ছোট বোন জামাই রফিক মুন্সি, সে ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির বড় নেতা, অত্র এলাকার ডন, তার সাথে কেউ পারবে না। সে যেখানে বিরোধ সেখানেই তিনি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে পেশি শক্তি খাটায়। তার ইন্ধনে আমি আমার পরিবারের উপর হামলা করছে। আমি এর বিচার চাই।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মৃত্যু শশুরের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করে সম্পত্তি ভাগাভাগি করে দেয়ার কথা বলে আসামীদয়। আমার স্বামী তাতে রাজি না হওয়ায় ঐদিন আমপাড়ার বাহানা নিয়ে বেশ কিছু বাইরের লোকজন নিয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে অনধিকার চর্চা মাধ্যমে প্রবেশ করে আমি এবং আমার স্বামীর উপরে লোহার রড লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে। এছাড়া আমার গলায় এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন আমার ননদ মিষ্টি বেগম ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপরই বাসায় ঢুকে ওয়ারড্রপ, আলমারি, শোকেস তছনছ করে এবং লুটপাট করে ননদ মিষ্টি-তার ছেলেসহ হামলাকারীরা।
থানায় অভিযোগকারী কাজী রুমা বলেন- আসামিরা আমি এবং আমার স্বামী ব্যাবসায়ী মো: সোহেল মাতব্বরকে খুনের হুমকি দিচ্ছে, প্রতিনিয়ত আমরা আতঙ্কের মধ্যে থাকি। আত্মীয়স্বজনরা এ বিষয় নিয়ে শালিস বৈঠক বসার কথা বলে আমার সময় ক্ষেপণ করেছে। তাই ভাগ করতে একটি বিলম্ব হয়েছে আমার।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকির সিকদার বলেন- অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’