জাতীয়
গৃহবিবাদ থেকে এএসপি পলাশের ‘আত্মহত্যা’, ধারণা ভাইয়ের
সাংসারিক বিবাদ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে তার পরিবার ধারণা করছে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রামের র্যাব-৭ কার্যালয় থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাশ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ।
পলাশ সাহা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে। চট্টগ্রামে তিনি তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা ও মা আরতি সাহাকে নিয়ে বসবাস করতেন।
পলাশ সাহার মেঝ ভাই নন্দলাল সাহা সাংবাদিকদের বলেন, দুই বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় পলাশ বিয়ে করেন। বিয়ের ছয়-সাত মাস পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সবসময় কলহ লেগেই থাকত। পলাশ তার স্ত্রী ও মাকে ভালবাসত।
“বুধবার সকালেও পলাশ ও তার স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। বোধহয় এ কারণেই অভিযানে পলাশ আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা।”
চিরকুটে মৃত্যুর জন্য নিজেকে ছাড়া আর কেউ দায়ী করেননি পলাশ সাহা; তিনি বিসিএস ৩৭ ব্যাচের ক্যাডার।
চিরকুটে লেখা আছে, “আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী, কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।”
ওই চিরকুটে নিজের মাকে দেখে রাখার কথাও লিখে গেছেন ওই র্যাব কর্মকর্তা।
তিনি লিখেছেন, “বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।”
র্যাব-৭ এর হোয়াটসআপ গ্রুপে এক বার্তায় বলা হয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অস্ত্র ইস্যু করে নিজের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন।
“কিছু সময় পর গুলির শব্দ শুনে দায়িত্বরত অন্যান্য র্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুপার পলাশ সাহাকে পড়ে থাকতে দেখেন।”