কলাপাড়া
কুয়াকাটায় পর্যটককে মারধর করে টাকা ছিনতাই ও চাঁদাদাবি, যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মো. তুহিন নামে এক পর্যটককে মারধর করে ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় যুবদল নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী পর্যটক মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক মো. বেল্লাল হোসেন (৪৫), তার সহযোগী রিয়াজ (২৪) ও শাকিল (২৪)। মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ হাওলাদার (২৭) এখনও পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হোটেল মালিকপক্ষ চার দিনের ভাড়া বাবদ তুহিনের কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হোটেলের ১০২ নম্বর কক্ষে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয় এবং তার কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়। পরে তুহিন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তুহিন ঢাকার মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি চার দিন আগে কুয়াকাটার ‘ব্লু বার্ড’ নামক একটি আবাসিক হোটেলে দৈনিক এক হাজার টাকা ভাড়ায় উঠেছিলেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী পর্যটকের ফোন পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে অভিযুক্ত বেল্লাল হোসেন দাবি করেন, তুহিনের সঙ্গে তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল এবং তিনি ওই হোটেলে মাঝে মাঝে যৌনকর্মী সরবরাহ করতেন। লেনদেনসংক্রান্ত জটিলতা থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, ‘একজন ব্যক্তির অপকর্মের দায় দল নেবে না। দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপরাধে জড়ালে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’