চরফ্যাশন
ভোলায় বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা, অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট
ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস শ্রমিকদের ওপর ফের সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে হামলা ও বাসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বিচারের দাবিতে ভোলার ৫টি অভ্যন্তরীণ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার (৪ মে) সন্ধ্যা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এ সময় ভোলা সদরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন বাস শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। এর আগে এদিন বিকেল ৫টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
বাস শ্রমিক মো. বশির ও মোসলেউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, রোববার বিকেল ৫টার দিকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া দৌলতখান উপজেলাগামী হাজী পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহি বাস বাংলাবাজার সংলগ্ন জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে ওপর দিক থেকে একত্রে ছেড়ে আসে কয়েকটি সিএনজি। এসময় বাস সিএনজিকে সাইড দিতে দেরি হওয়ায় ৭ থেকে ৮টি সিএনজির চালক একত্রে জড়ো হয়ে বাসের গতিরোধ করে চালক হেলপারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভোলা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত ২৮ এপ্রিলের রেশ না কাটতে আমাদের পরিবহনের ওপর আজ ফের হামলা হয়েছে। সিএনজি চালকদের হামলায় আমাদের ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। একই সময়ে ভোলার ভেদুরিয়া বাংলাবাজার কুঞ্জেরহাট কর্তারহাট ও লালমোহনে বাস ও শ্রমিকের ওপর হামলা চালিয়েছে সিএনজি চালকরা। এ হামলার ঘটনায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫টি রুটে অনির্দিষ্টকালের কালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছি।
তবে এ ঘটনায় সিএনজি চালক ও মালিকদের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস-ও সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাসস্ট্যান্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।