চরফ্যাশন
ভোলায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে জামায়াত নেতার বাড়িতে অনশনে তরুণী : অতঃপর
ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে জামায়াত নেতার বাড়িতে অনশনে বসেন এক তরুণী (২৫)। শুক্রবার উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার পুলিশের মধ্যস্থতায় তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান।
তরুণীর প্রেমিকের নাম সাইফুল্লাহ মানসুর হেলাল। তিনি এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ওই ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি।
অনশনে বসা তরুণী বলেন, সাইফুল্লাহ মানসুর তার দূরসম্পর্কের ফুফাতো ভাই। তিন বছর আগে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। পরে মোবাইল ফোনে কথা হয় দুজনের। এরই মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর পরিবারের অজান্তে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর ঢাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে সংসার করেন দুজন। পরে তাকে স্বামী সাইফুল্লাহ ঢাকায় ভাড়া বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। থাকা-খাওয়ার জন্য কোনো টাকা পাঠাননি সাইফুল্লাহ। খাওয়া-দাওয়ায় কষ্ট হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে সাইফুল্লাহর বাড়িতে আসেন তিনি। এসে দেখেন স্বামীর ঘরটি তালাবদ্ধ।
তরুণী আরও বলেন, আমাকে বিয়ে করে দীর্ঘদিন সংসার করেছেন সাইফুল্লাহ। এখন তার মা-বাবা আমাকে মেনে নিচ্ছেন না। আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন। স্বীকৃতি না দিলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন এ তরুণী।
যদিও ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান সাইফুল্লাহ মানসুর হেলাল। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে চরফ্যাশন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মীর শরিফ বলেন, তারা পরস্পরের আত্মীয়স্বজন। ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক হতে পারে।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল বলেন, দুপুরে ওই তরুণীকে থানায় আনা হয়েছে। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। তারা নিজেরা মীমাংসা করে ফেলেছেন।
তিনি আরও বলেন, তবে উভয়ের পরিবারকে নিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিষয়টির পরিপূর্ণ সমাধান হবে। তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।