বরিশাল
বরিশালে ভেঙ্গে দেয়া হলো চলাচলের রাস্তায় থাকা বাউন্ডারি দেয়াল, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ২৩ নং ওয়ার্ডের উপজেলার পিছনে দিঘির পার লেন এলাকায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে স্থানীয়দের চলাচলের রাস্তার পা দখল করে ভবন নির্মান কাজ শুরুর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পরেন এবং কি স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে উভয় পক্ষের অনুমতিতে চলাচলের রাস্তার পাশে থাকা সীমানা বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙ্গে নেয় বাসিন্দারা।
গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির পেশকার এবং তার বোন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অফিসার শিরিন আক্তার আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে র্দীঘ বছর ধরে স্থানীয়দের উপর আত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তার পরে এলাকা থেকে পালিয়ে গা ডাকা দেন আওয়ামী লীগ নেতা মনির পেশকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও মনির বাহিনী হাত থেকে রেহাই এখনও পাচ্ছে না স্থানীয়রা এমন অভিযোগ তাদের।
২৩ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শিমুল চৌধুরী বলেন, র্দীঘ দিন ধরে প্রায় আড়াই শ’ পরিবারের চলাচলের রাস্তার পাশে সীমানা বাউন্ডারির দেয়াল দেন মনির পেশকার গংরা। পরে আমরা স্থানীয়রা বেশ কয়েক বার রাস্তার পাশে থাকা দেয়াল সরিয়ে নিতে বলি তাদের। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে আমাদের উপর বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে। এমনকি আমাদের ভিন্ন ধরনের হুমকি দামকি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন- তবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আমরা এলাকাবাসী সবাই এক হয়ে চলাচলের রাস্তার পাশ থেকে সীমানা বাউন্ডারির দেয়াল সরিয়ে নিতে বলি তাদের। কিন্তু তারা আমাদের কোন কথা শুনছিলো না। পরে বিষয়টি নিয়ে সিটি করর্পোরেশন সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন সমাধান পাইনি।
তিনি আরো বলেন, ২৮ এপ্রিল সকালে দেখি একটি বোল্ডোজার এনে তারা তাদের জমিতে মাটি কাটছে ভবন নির্মান করার জন্য। পরে স্থানীয়রা এক হয়ে প্রতিবাদ করলে আমাদের কথা শুনছিলোনা তারা। উল্টো আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এবং আমাদের সাথে কথাকাটাকাটি সৃষ্টি করেন। পরে আমারা উভয় পক্ষর উত্তেজিত হই। এবং পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। এর পরে উভয় পক্ষের অনুমতিতে পুলিশের এবং মনিরের বোন শিরিন আক্তারের উপস্থিততে সীমানা বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙ্গে নিয়ে যান তারা। তখন সিদান্ত হয় এলাকাবাসীদের সাথে শিরিন আক্তার গংরা বসে একটা স্থায়ী সমাধানে যাবেন। কিন্তু তারা তা না গিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দেন।
স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার রফিক বলেন, স্থানীয়রা রাস্তার বড় এবং রাস্তার মধ্যে থাকা সীমানা বাউন্ডারির দেয়াল ভেঙ্গে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার বলেছিলেন। কিন্তু তারা স্থাণীয়দের কোন কথা শুনছিলেন না।
স্থানীয় হুমায়ন হাওলাদার বলেন, মনির গংরা র্দীঘ দিন ধরে এলাকার মানুষের উপর জুলম আত্যাচার করে আসছেন। তাই আমরা এলকাবাসী তাদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই এক হয়ে প্রতিবাদ করলে তারা উল্টো স্থানীয়দের বিরুদ্ধে চাঁবাজির অভিযোগ করেন। তবে এলাকাবাসীর এক হয়ে প্রশাসনের সকল দপ্তরের কাছে দাবি জানিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি ও বিচারের। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের কাছেও দাবি জানান চলাচলের রাস্তাটি একটু বড় করে দেওয়ার জন্য।
শিমুলসহ বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই ইউসুফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চাাঁদা দাবির একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে থানায়। এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বে আমাকে দেওয়া হয়েছে। মূলত বিষয় হলো স্থায়ীদের সাথে অভিযোগকারী মোসাঃ সামিয়া আক্তার লিমা গংদের রাস্তা নিয়ে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এবং সামিয়াদের জমির সীমানা দেওয়াল ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে নাকি উল্লেখ করে তারা অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।