বরিশাল
বরিশালে বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ নিচ্ছে না পুলিশ
বরিশালের মুলাদীতে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ করেনি পুলিশ। হামলাকারীদের পক্ষে প্রভাবিত হয়ে ঘটনা সমাধানের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মুলাদী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের তেরচর এলাকার বাসিন্দা ফার্মেসি মালিক ষাটোর্ধ সেলিম আহম্মেদ দুলালের সাথে একই এলাকার মোশারেফ হোসেন নান্নু, তামিম হোসেন মল্লিক ও তানভির মল্লিকের সাথে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছিল। ২৮ এপ্রিল সেলিম আহম্মেদ দুলালের শ্বশুর বাড়ির পাশ দিয়ে ড্রেজারের পাইপ দিয়ে বালু নিচ্ছিল বিরোধীয়রা। পাইপের পানি দুলালের শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এ নিয়ে আপত্তি জানানোয় তামিম ও মানভির মল্লিক সেই বাড়ির লোকজনকে গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন। খবর পেয়ে সেই বাড়িতে গিয়ে সকলকে শান্ত থাকতে বলেন সেলিম আহম্মেদ দুলাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তানভির ও তামিম মল্লিক প্রথম দফায় মারধর করেন এবং বাড়ি ফেরার পথে আটকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে শরীরে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
আহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে অত্যাধিক পরিমাণে মারধর করেছে। তাকে এখনো হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী এগিয়ে না আসলে ওইদিন তাকে মেরেই ফেলতো। হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ আমাদের অভিযোগ রাখেনি। পুলিশ বলেছে, তারাও (হামলাকারী) অভিযোগ দেবে, আপনারাও দিয়ে যান। একটা সমাধান করে দেবনে।
নাসিমা বেগম আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার প্রমাণ পেয়েছে এলাকাবাসীর মাধ্যমে। তারপরও তারা হামলাকারীদের ধরেনি। এসব বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুলাদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি অফিসার পাঠিয়েছিলাম। বুধবার নিজেও গিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে। ঘটনা এজাহার করার মতো বড় নয়। ভাতিজা তার চাচাকে ধাক্কা দিয়েছে এজন্য সামান্য হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছে। অভিযোগ নিয়ে গতকাল আসার কথা থাকলেও আসেনি। ধারণা করছি সমাধান হয়ে গেছে। সমাধান না হলে যতটুকু অপরাধ হয়েছে অতটুকু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।