ঝালকাঠি
নলছিটিতে ৩ দিনের ব্যবধানে ফের ডা’কা’তি, পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠির নলছিটিতে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ডাকাতির ঘটনা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একেরপর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন মূল অপরাধীরা। তিন দিনের ব্যবধানে আবারও নলছিটিতে পুলিশ পরিচয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল পরিবারের সদস্যদের হাত পা ও চোখ বেঁধে ঘরের স্বর্নলংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ২ টা ৩০ মিনিটে নলছিটি উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের জুয়েল কাজী নামে এক ব্যক্তির ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়েল কাজী জানায়, প্রথমে বিল্ডিং বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ১০-১২ জন ডাকাত। পরে তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সকল সদস্যদের গামছা দিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে রাখে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ডাকতরা ধারালো চাপাতি দিয়ে তার মায়ের শরীরে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এরপর ঘরে থাকা ইস্টিলের আলমারি, ওয়ারড্রপ ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে দুই ভরি ওজনের সোনার জিনিস ও নগদ টাকাসহ অন্তত ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
বর্তমানে জুয়েল কাজীর মা বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর গত তিনদিন আগে (২৪ এপ্রিল) একই ইউনিয়নের সিদ্ধকাঠি গ্রামে আবু সরদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে ডাকাতদল ঘরে ঢুকে হাত পা বেঁধে ২ ভরি স্বর্ন ও নগদ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
এছাড়াও গত (১১ এপ্রিল) উপজেলার মগড় ইউনিয়নের ডুবিল গ্রামে এক পুলিশ সদস্যর বাড়িতে ডাকাতির পড় বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ডাকাতদল।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে নলছিটি উপজেলা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় কোন কথা বলতে রাজি হননি।
একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
এমনকি এর আগেও পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও তদন্তের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।