পিরোজপুর
পিরোজপুরে প্রবাসীর স্বজনদের হত্যাচেষ্টা ৮ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গভীর রাতে বসতঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে আগুন দিয়ে বাহরাইন প্রবাসীর স্বজনদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের করিমগঞ্জ বাজারসংলগ্ন পশ্চিম রাজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৮ দিনেও থানায় মামলা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। পরদিন বুধবার (২৩ এপ্রিল) বাহরাইন প্রবাসী হেলাল হাওলাদারের স্ত্রী শিউলী আক্তার প্রতিবেশী অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিনের ৪ ছেলে মামুন হাওলাদার, আবুল কালাম ওরফে খালিদ, শামিম হাওলাদার ও সুমনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী শিউলী আক্তার জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে ইমামের বেতন তোলাকে কেন্দ্র করে আমার ভাসুর আ. রাজ্জাক রনজুসহ আমাদের লোকজনদের ওপর হামলা চালায়।
এতে আমাদের লোকজন আহত হন। এ সময় প্রতিপক্ষ আবুল কালাম ওরফে খালিদ আছাড় খেয়ে মসজিদের সিঁড়িতে পরে গেলে কপালের এক পাশ কেটে যায়। যার সাক্ষী আছেন শত শত মুসুল্লি। কপাল কাটার ঘটনাকে পুঁজি করে গত ৩ এপ্রিল হত্যাচেষ্টা ও বোমা বিস্ফোরক আইনে মঠবাড়িয়া থানায় আমার ভাসুর আ. রাজ্জাক রনজুসহ ১১ জনের বিরুদ্ধ মামলা করেন।এতেই ক্ষান্ত হয়নি তারা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে বসতঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে আগুন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় তারা। ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, ঈদের দিন আ. রাজ্জাক রনজু গং ও আবুল কালাম ওরফে খালিদ গংদের মাঝে শুধু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখানে আবুল কালাম ওরফে খালিদ গংরা বোমা বিস্ফোরক আইনে আ. রাজ্জাক রনজু গংদের নামে যে মামলাটি দিয়েছে সেই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। খালিদ পরিবারটি মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত।
গণমাধ্যম কর্মিরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আবুল কালাম ওরফে খালিদ স্বপ্রনোদিত হয়ে তার ছোট ভাই শামীমের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে সাংবাদিকদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়। মঠবাড়িয়া থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।