কলাপাড়া
পটুয়াখালীতে পিটিয়ে মায়ের হাত ভেঙে দিলেন ছেলে
পটুয়াখালীর মহিপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ছেলের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ৬৫ বছর বয়সী মা নূরনেছা বেগম। সোমবার (২১ এপ্রিল) শেষ বিকেলের দিকে মহিপুর থানার ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই আহত নূরনেছা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত জেরে ছেলে নূরুল-ইসলাম তার মাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় লাঠির আঘাতে নূর নেছা বেগমের বাম হাত ভেঙে যায়। এ সময় মারধর থামাতে গেলে নুরুল ইসলাম তার ছোট ভাইয়ের বউ হামিদা বেগমকেও পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুয়াকাটা তুলাতলী ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সরেজমিনে গেলে আহত ষাটোর্ধ মা নূরনেছা বলেন, তিন ছেলে একসাথে জমি ক্রয় করেছেন। সেই জমি এলাকার গণ্যমান্যরা বসে সমান ভাগে ভাগাভাগি করে দেন। পরে আমার ছোট ছেলে সরোয়ার তার ভাগের জমিতে বেড়া দিতে গেলে নূরুল ইসলাম তাকে মারধর করেন। আমি থামাতে গেলে আমাকে মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিলে মাকসুদা নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, নুরুল ইসলাম দূরে রয়েছেন বলে কল কেটে দেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’