জাতীয়
খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু
উন্মুক্ত খাল-নালায় আর কত প্রাণ যাবে, প্রশ্ন চট্টগ্রামবাসীর
চট্টগ্রাম নগরীর খোলা খাল ও নালাগুলো এখন আর শুধু জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে না, এগুলো এখন পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে কারো না কারো জীবন থেমে যাচ্ছে এসব খাল-নালায় পড়ে। চলতি পথেই মানুষ পড়ে যাচ্ছেন খালে! কখনো শিশু, কখনো বৃদ্ধ কখনো শিক্ষার্থী—হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক তাজা প্রাণ।
নগরীর এসব খাল ও নালায় নিয়মিত প্রাণহানি ঘটলেও বছরের পর বছর কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতিবার দুর্ঘটনার পর আসে প্রতিশ্রুতি, বাস্তবে কিছুই পাল্টায় না। ঘটনার পর দায়িত্বশীল বিভিন্ন সংস্থা একে অপরকে দোষারোপে ব্যস্ত থাকে।
চট্টগ্রামের খাল ও নালাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। অন্যদিকে, খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কিন্তু কোনো পক্ষই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উন্মুক্ত খাল-নালার পাশে নেই কোনো সতর্কবার্তা, ব্যারিকেড বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বেশিরভাগ নালার পাশের সড়কগুলোতে নেই সড়কবাতি। সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে চারটি প্রকল্প চলমান থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়নের সময় জননিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তার ওপর দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কার্যকর সমন্বয়ের অভাব। সবমিলিয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এসব এলাকার পথচারীদের জীবন।