আমতলি
আমতলীতে ১০ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধ’র্ষ’ণের অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনার আমতলীতে দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ এনে ধর্ষক সহ ০৫ জন কে আসামী করে মামলা করেছেন ভুক্ত ভুগি মেয়ের মা মর্জিনা বেগম । গত ৬ এপ্রিল বরগুনার নারি ও শিশু নির্য়াতন ট্রাইবুনাল এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হল মো: নাইম, নাইমের বাবা মো: সেলিম হাওলাদার, নাইমের মা হাওয়া বেগম ,নাইমের বোন সাথী বেগম ও বোন জামাই মো: তুহিন।
বিজ্ঞ আদালত মামলা টি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলা ভাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হাওলাদারের মাদ্রাসায় দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে তারই আপন চাচাতো ভাই সেলিম হাওলাদারের ছেলে নাইম বিভিন্ন সময় মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে একা পেলে উত্ত্যক্ত করত এবং কু প্রস্তাব দিত। গত ২৭ জানুয়ারি মর্জিনা তার স্বামিকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় তার মেয়েকে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। নাইম ওই মেয়েকে এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য শাসিয়ে দেয়। কাউকে কিছু বলে দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আরো কয়েকবার ধর্ষণ করে। ২০ মার্চ সকাল ১০ টার সময় মর্জিনা বাড়ির বহিরে কাজে গেলে সেই সুযোগে নাইম তার ঘরে ঢুকে আবার ও ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে। মর্জিনা বাড়ি এসে তার ঘর থেকে নাইমকে বেড়িয়ে যেতে দেখে। তার মেয়েকে বিবস্ত্র আবস্থায় দেখতে পায় এবং তার মেয়ে ভয়ে কাপছে।
তখন ধর্ষণের স্বীকার ছাত্রী তার মাকে বলে, নাইম বিভিন্নসময় আমাকে জোড়পূর্বক আবার কখোনো বিয়ের প্ররেলাভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এতে সে৩ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এখন নাইম ঐ ছাত্রীকে বিবাহ করতে অস্বিকৃতি জানায়।