বরিশাল
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ৮ দিনে ১৮৫ রোগীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের ছুটির গত ৮ দিনে বরিশাল শের-ই-বংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে সড়ক দূর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারনে ১৮৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৮৫০ জন রোগী। ঈদের ছুটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় নার্স সংকটে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাননি বলে মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়িয়ে বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। এ কারনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ এ হাসপাতলে ২১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনে এ হাসপাতালে ১৭৯৯ জন রোগী ভর্তি ছিলো। ওই দিন নতুন করে ৪০৫ জন রোগী ভর্তি হয়। তবে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান ৩৬৪ জন রোগী।
একই ভাবে ঈদের দিন ৩১ মার্চ এখানে মৃত্যু হয় ১৯ জন রোগীর। এদিন এ হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪৪৬ জন রোগী। ঈদের পরের দিন ১ এপ্রিল এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ১৮ জন রোগীর। নতুন করে ভর্তি হয় ৫৯৪ জন রোগী। ২ এপ্রিল মৃত্যু হয় সর্বাধিক ২৮ জন রোগী। এদিন এ হাসপাতালে ভর্তি হয় সর্বাধিক ৭শ রোগী।
৩ এপ্রিল এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২৩ জন রোগী। এদিন এখানে নতুন করে ভর্তি হয় ৫৮৯ জন রোগী। ৪ এপ্রিল এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২৮ জন রোগী। নতুন করে ভর্তি হয় ৫১১ জন। ৫ এপ্রিল এ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২৫ জন রোগী। নতুন করে ভর্তি হয় ৬৭৪ জন রোগী। এদিন এ হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো ১৭৯৯ জন। একই ভাবে ৬ এপ্রিল মারা গেছে ২৩ জন রোগী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঈদের সময় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত প্রায় ২ হাজার রোগীর চিকিৎসার জন্য গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন চিকিৎসক দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ঈদের ছুটির সময় মৃত্যুর সংখ্যা একটু বেশি হলেও চিকিৎসা সেবায় কোন ত্রুটি হয়নি বলে দাবী করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন রোগীর মুত্যু হয় বলেন জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহামুদ হাসান বলেন, এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮শ রোগী ভর্তি হয়ে থাকে। কোন কোন সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা আরো বেশি হয়।তিনি বলেন ঈদের সময় যারা একেবারেই মুমূর্ষ অবস্থায় থাকে তাদেরকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে থাকে। মোটামুটি কম অসুস্থরা এসময় হাসপাতালে ভর্তি হন না। তবে গত ৭ দিনে যে মৃত্যু হয়েছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবী করেন তিনি।