উজিরপুর
উজিরপুরে গৃহবধূ হত্যা না আত্মহত্যা এনিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়ন মশাং গ্রামে স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয় জেনে যাওয়ায় রাতেই গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগ করেন মেয়ে পরিবার। (৪ এপ্রিল) শুক্রবার সকালে উজিরপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা (শেবাচিম) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠান।
উজিরপুর ওটরা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড মশাং গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লিটন হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাব্বির স্ত্রী এক সন্তানের জননী নিশি বেগম (২০)। মশাং বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মোঃ শহীদ এর ভাড়া বাসা টিনসেট ঘরে বসবাস করতেন। নিহতের মামা সাদ্দাম খান বলেন, আমার ভাগ্নী নিশিকে পরিকল্পিতভাবে রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজন মিলে হত্যা করেছে।
স্থানীয় বারেক খা বলেন, নিশি বেগম ও তার স্বামী মোঃ রাব্বির সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মনোমালিন্য, ঝামেলা চলে আসছিল। নিহতের চাচা রেজাউল মোল্লা জানান, গত (৩ এপ্রিল) রাব্বির দিতীয় স্ত্রী নিশির বাসা দেখে যায় এবং পরিকল্পিতভাবে বৃহস্পতিবার রাতে যে-কোনো সময় নিশিকে হত্যা করা হয়েছে। মোঃ রাব্বি মশাং এলাকার একটি বেকারীর সেলসম্যানের কাজ করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম ও এসআই তারেকসহ পুলিশের টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের বাবা মোঃ রুবেল মোল্লা জানান, আমার মেয়েকে রাব্বি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী লামিয়া আক্তারসহ ৫/৬ জন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। কিছুদিন আগেও লামিয়া ও তার দেবর এসে আমার মেয়েকে হুমকী ধামকী দিয়ে যায়। আমি এদের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয় উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান,স্থানীয়ভাবে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। আমরা সরেজমিনে এসে দেখি খাটের ওপর লাশ রাখা রয়েছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা পোস্ট মার্ডাম রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশালশের-ই বাংলা (শেবাচিম) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়ের পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।